মরিশাস ১০ জানুয়ারি, ২০২৩:
মরিশাসস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়। দিবসের শুরুতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।
মান্যবর হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ তাঁর বক্তব্যে প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন- সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। আজকের এ ঘটনা ছিল বাংলাদেশ জন্মের ইতিহাসের আরেক আশীর্বাদ এবং বিজয়গাঁথা। অন্ধকার হতে আলোয় যাত্রা। পুরো জাতি এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। এটি ছিল বাঙ্গালীর স্বপ্ন পূরণের দিন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত 13 বছর ধরে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক চালু হওয়া পদ্মা সেতু ও উন্নত প্রযুক্তির মেট্রোরেল দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির সক্ষমতা প্রকাশ করে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আমরা সবাই যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করি তাহলে অবশ্যই 2041 সালের মধ্যে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ উন্নীত হতে পারব। তিনি সকলকে এ উদ্যোগে শামিল হওয়ার জন্য আহবান জানান। এছাড়াও তিনি বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্য উপস্থিত সকলকে অনুরোধ করেন এবং এর সুফল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আগত সেবাপ্রার্থী ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।