পোর্ট লুইস, ১৭ মার্চ, ২০২৩ :
বাংলাদেশ হাইকমিশন পোর্ট লুইস, মরিশাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করে।
দিবসটির প্রারম্ভে মান্যবর হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বর্ণিল এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বিশেষ মোনাজাত, শিশুদের নিয়ে কেক কাঁটা এবং তাদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতে মান্যবর হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। পরবর্তীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। অতঃপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর উপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সমাপনী বক্তব্যে মান্যবর হাইকমিশনার বলেন- গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় ১৯২০ সালের এই দিনে যে শিশু জন্ম নিয়েছিল, পরিণত বয়সে তাঁর নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠেন বাঙালী জাতির গর্বের মূর্ত প্রতীক। তিনিই জাতিকে মুক্ত করেন পাকিস্তানের শোষণ ও বঞ্চনা হতে, প্রতিষ্ঠা করেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের, হয়ে উঠেন বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা। বাঙালী জাতির স্বাধীন আবাসভূমির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং বিশ্বাস করতেন যে, শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যত। সেজন্যই তাঁর জন্মদিনটি শিশুদের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে এবং আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এ আয়োজনে আমরা শিশুদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছি। মান্যবর হাইকমিশনার উপস্থিত শিশুদের বঙ্গবন্ধুর মত আলোকিত মানুষ হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু উপর রচিত কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করা হয়। মান্যবর হাইকমিশনার উপস্থিত অতিথিসহ শিশু কিশোরদেরকে সাথে নিয়ে কেক কাটেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ
করেন।
অনুষ্ঠানে শিশুকিশোরসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানানো হয়।