Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 28th March 2024
Press Release

বাংলাদেশ দূতাবাস, আবুধাবিতে “গণহত্যা দিবস” পালন

 

২৫শে মার্চ ২০২৪, আবুধাবি:

 

আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ভাবগম্ভীর পরিবেশে গণহত্যা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দূতাবাস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

    

অনুষ্ঠানের সূচনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। এরপর গণহত্যার শহীদদের স্বরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয় এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং ১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যার উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

 

অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে অতিথিগণ বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। একাত্তরের বীভৎস গণহত্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বমানবতার ইতিহাসেও একটি কালো অধ্যায়।

 

পরবর্তীতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে চার্জ-দ্য-অ্যাফেয়ার্স জনাব মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন যাদের চূড়ান্ত আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। তিনি বলেন, বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম দেওয়া হয়েছিল 'অপারেশন সার্চলাইট'। সেই কাল রাতে চালানো অপারেশন সার্চলাইটের বীভৎসতার ওপর দাঁড়িয়ে মুক্তির যে যুদ্ধ শুরু করে বাঙালি জাতি, তার পথ ধরে নয় মাস পার বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। এমন গণহত্যা আর কোথাও যাতে না ঘটে, গণহত্যা দিবস পালনের মাধ্যমে সে দাবিই বিশ্বব্যাপী প্রতিফলিত হবে।

 

পরিশেষে, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনার মাদ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।  

2024-03-25