মাস্কাট, ০৬ জুন ২০২৩ঃ

বাংলাদেশ দূতাবাস, মাস্কাট যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করেছে। মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ নাজমুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ওমানের বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং দূতাবাসের কর্মচারীরা উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসের অভ্যন্তরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপর একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর দিবসটির উপর বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ওমানের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা আলোচনায় অংশ নেন।

মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার জানান। তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে বিশ্ব শান্তি পরিষদ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুকে “জুলিও কুরি শান্তি পদক” কে ভূষিত করে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় বিশ্বের নিপীড়িত, নির্যাতিত ও শোষিত সাধারণ মানুষের মুক্তির পক্ষে সোচ্চার থেকেছেন; জানিয়েছেন তাঁর অকুন্ঠ্য সমর্থন। তিনি বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই করেছেন; ক্ষুধা,দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন। তাঁর ঘোষিত শান্তির বাণী ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়’ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূলমন্ত্র। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর এ অসামান্য অর্জন বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরবের। তিনি দেশেন সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে এবং বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শকে লালন করে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়ে সভা সমাপ্ত করেন।