ম্যানচেষ্টার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩:
হলিরুডে স্কটিশ পার্লামেন্টে বর্ণিল আয়োজেন ২৫ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। পার্লামেন্টের গার্ডেন লবিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্কটিশ সংসদ সদস্য, এডিনবার্গে অবস্থিত কনসাল জেনারেল, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং স্কটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির সদস্যবৃন্দের বিপুল উপস্থিতিতে উদ্যাপন অনুষ্ঠান একটি প্রানবন্ত বাংলাদেশ মেলায় পরিণত হয়।
স্কটল্যান্ডের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একমাত্র সংসদ সদস্য ফয়সল চৌধুরী-এর উদ্যোগে পার্লামেন্টে প্রথম বারের মতো আয়োজিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা উদ্যাপন অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, উন্নয়ন, অগ্রগতি ও রূপকল্পের একটি ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান স্কটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় এবং স্কটিশ পার্লামেন্টের সংসদ সদস্যবৃন্দ ও কূটনৈতিকদের সক্রিয় উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের গল্প বলতে গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম, ৩০ লক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও ২ লক্ষ নারীর ত্যাগের বিনিময়ে কষ্টার্জিত স্বাধীনতার সুফল দেশের মানুষের কাছে পৌছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবিরাম প্রচেষ্টা এবং দৃঢ় নেতৃত্বের বিষয়টি তুলে ধরনে। তিনি উল্লেখ করেন যে, ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভকারী বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ স্বনির্ভর, উন্নত, সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট সোনার বাংলায় রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। নেতৃত্বের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি জানান যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্মোহ, দৃঢ়, অবিচল এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সমাজে সুষম উন্নয়ন এবং সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের ব্যাপক প্রসার সম্ভব হচ্ছে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা বন্দর, এলএনজি টার্মিনাল, মেট্টোরেল, রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্র স্থাপনসহ অনেক জাতীয় মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি প্রান্তে উন্নয়নের ছোঁয়া ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে। একই সঙ্গে ভৌত অবকাঠামো এবং ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নতির ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অন্যতম অনুসঙ্গ তথা জনগণের অভিমত এবং দেশের শাসন ব্যবস্থায় তাদের অধিকতর অংশগ্রহণ সম্ভবপর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তণজনিত সংকট মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তার পরিকল্পনায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ গৃহহীনদের জন্য আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
আলোচনায় বক্তারা বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের বৈশ্বিক নেতৃত্বের ভূয়ষী প্রশংসা করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সকলে স্কটল্যান্ড এবং বাংলাদেশের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবেলা, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও যৌথ গবেষণাসহ নানাক্ষেত্রে নিবিড় সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।