০৫ আগস্ট ২০২৩:
আজ (০৫ আগস্ট) যথাযোগ্য মর্যাদায় নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শহিদ শেখ কামাল, জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
কনসাল জেনারেল তাঁর সূচনা বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল সম্বন্ধে আলোচনাকালে কনসাল জেনারেল মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং বাংলাদেশের শিল্প সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মরণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে তিনি ছিলেন পথিকৃৎ বলে কনসাল জেনারেল মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের কর্মময় জীবন ও আদর্শ সবসময় আমাদের যুবসমাজের কাছে অনুপ্রেরণার এক অবিরাম উৎস হয়ে থাকবে। কনসাল জেনারেল শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের কর্মময় জীবন ও বাংলাদেশের ক্রীড়া, শিল্প, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে তাঁর অবদান সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে অবহিত করার জন্য সকলকে উদাত্ত আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত শহিদ শেখ কামাল এর স্ত্রী শহিদ সুলতানা কামালের বড় বোন মিসেস খালেদা রহমান টেলিফোনে সংযুক্ত হয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেন। অন্যান্য বক্তাগণ শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের আলোকিত জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করতে গিয়ে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদানের কথা কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন।
উপস্থিত সকলে কনস্যুলেটের এ উদ্যোগ ও আয়োজনের প্রশংসা করেন।