Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 22nd February 2023
Press Release

লিসবন-এ মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

 

লিসবন, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩:

 

যথাযথ মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পর্তুগাল-এর রাজধানী লিসবন-এ আজ (মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখ) বাংলাদেশ দূতাবাস মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে। সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারির উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচীর সূচনা করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ কালো ব্যাজ পরিধান করেন। পরবর্তীতে ক্যাম্পো মার্ত্রিস দ্যা পাত্রিয়া পার্কে স্থাপিত স্থায়ী শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে, স্থানীয় প্রশাসন, জুন্তা ফ্রেগেসিয়া দ্যা আরোইস-এর সহযোগিতায় দূতাবাস মূল কর্মসূচির আয়োজন করে। শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পর্তুগিজ এবং কিছু বিদেশী অতিথি ছাড়াও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্যরা এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন। উপস্থিত প্রবাসীদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, আঞ্চলিক সমিতি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রভৃতি উপস্থিত ছিলেন।

 

মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ব্যানার, পোস্টার ও বর্ণমালা দিয়ে সজ্জিত করা হয়। এছাড়াও শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে ভাষা শহিদদের নিয়ে এক চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান, জুন্তা ফ্রেগেসিয়া দ্যা সান্তা মারিয়া মাইয়র এর প্রেসিডেন্ট, জুন্তা ফ্রেগেসিয়া দ্যা আরোইস-এর প্রতিনিধিবৃন্দ, পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সহ দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের ভাষা শহীদগণের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মূল কর্মসূচির সূচনা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর মহান শহীদ দিসব ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।  বক্তারা বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ এবং মানবাধিকার, সাম্য, মুক্তি সহ প্রভৃতি মূল্যবোধের উন্নয়নে ভাষা শহিদদের অনন্যসাধারণ অবদানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। জুন্তা ফ্রেগেসিয়া দ্যা সান্তা মারিয়া মাইয়র এর প্রেসিডেন্ট জনাব মিগুয়েল কোয়েলহো তাঁর বক্তৃতায় ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং সাংস্কৃতিক ও জনকল্যাণমূলক যেকোন উদ্যোগে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সাথে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। উক্ত আলোচনাসভায় আরও বক্তৃতা করেন জুন্তা ফ্রেগেসিয়া দ্যা আরোইস-এর প্রতিনিধি জনাব লুইস ফ্রান্সিস্কো সুজা, পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জনাব তিয়াগো মনতৈইরো ও পর্তুগালের লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দি স্টাডিজ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক শিব কুমার।

 

রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তার বক্তব্যের শুরুতেই ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তৎকালীন উদীয়মান তরুণ রাজনৈতিক নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যিনি ভাষা আন্দোলনে তরুণদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি মন্তব্য করেন যে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি  বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গৌরবজ্বল মাইলফলক যা বাঙালি জাতিকে তাদের অধিকার আদায়ের বৈধ সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালে চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জিত হয়।  তিনি আরও বলেনমাতৃভাষার সার্বজনীন অধিকারের জন্য ভাষা শহিদদের এই সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দেবার লক্ষ্যে  ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। তরুণ প্রজন্মকে পর্তুগিজ ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষা চর্চায় উৎসাহিত করতেরাষ্ট্রদূত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়াওতিনি ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ, দেশপ্রেম ও আত্মমর্যাদার আদর্শকে ধারণ করতে সমবেত সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন।

 

আলোচনা শেষে, সংক্ষিপ্ত  সাংস্কৃতিক পর্বে একজন বাংলাদেশি প্রবাসী “মাগো ওরা বলে” কবিতাটি আবৃত্তি করেন এবং  সমবেতকন্ঠে ’আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে দেশীয় খাবারের মাধ্যমে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গকে আপ্যায়িত করা হয়। 

2023-02-21
Press Release.pdf Press Release.pdf
Download