Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 17th December 2023
Press Release

বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, করাচিতে ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে যথাযোগ্য মর্যাদা ও অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন

 

করাচি১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ঃ

 

বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, করাচি অদ্য রোজ শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে যথাযোগ্য মর্যাদা ও অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করে।

 

উপ-হাইকমিশনার এস. এম. মাহবুবুল আলম সকাল সাড়ে আট ঘটিকায় জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের কার্যক্রম শুরু করেন। অতঃপর উপ-হাইকমিশনার মিশনের সকল কর্মকর্তাকর্মচারী ও অতিথিদের সঙ্গে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে সশ্রদ্ধ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

 

পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং বিশেষ দো’আ ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহন বিজয় দিবসের দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করা হয়। অতঃপর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। দিবসের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অতঃপর উপ-হাইকমিশনার এস.এম. মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে মহান বিজয় দিবসের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

 

উপ-হাইকমিশনার এস.এম. মাহবুবুল আলম তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বিনম্র শ্রদ্ধা এবং গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যাঁর বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লক্ষ শহিদ, সম্ভ্রমহারা দুই লক্ষ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করে।

 

উপ-হাইকমিশনার বলেন মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতীয় জীবনের এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। তিনি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন যে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগে এবং দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানীর বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

 

উপ-হাইকমিশনার উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করেছে বলেই আজ বাংলাদেশ বহিঃবিশ্বে অত্যুজ্জ্বল ভাবমূর্তিসহ প্রতিটি খাতে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে ‘রোল মডেল’। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ ‘উন্নয়নশীল’ দেশে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন প্রতিশ্রুতিশীল ও মর্যাদাশালী স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র।

 

উপ-হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ, মর্যাদাশীল দেশ। বহিঃবিশ্বে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করে তিনি মন্তব্য করেন যে, গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুব্ধ হয়ে প্রাণপ্রিয় দেশমাতৃকার উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান অগ্রযাত্রায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবারই দায়িত্ব পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

2023-12-16
Download