জর্জিয়া, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩:
আজ জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সেলোমে জুরাবিচভিলি-এর নিকট মোঃ আমানুল হক এক আড়ম্বরপূর্ন আয়োজনের মাধ্যমে তাঁর পরিচয় পত্র পেশ করেন। এসময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর সহধর্মিনী রুনা মাহজাবিন আহমেদ অংশগ্রহন করনে।
পরিচয় পত্র পেশ অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট-এর সঙ্গে এক সৌজন্য স্বাক্ষাতে মিলিত হন। রাষ্ট্রদূত প্রেসিডেন্ট-এর কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান এবং প্রেসিডেন্টও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশ ও জর্জিয়ার মধ্যে চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো গতিশীল ও উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করণে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া, রাষ্ট্রদূত জনাব হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে জর্জিয়ার রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপতি জর্জিয়ার জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত মোঃ আমানুল হক-কে জার্জিয়ায় স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে ভ্রাতৃপ্রতীম বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের কল্যানে সব ধরণের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন। এর আগে সকালে রাষ্ট্রদূত জর্জিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব ইলিয়া দারচিয়াসভিলির সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেন।
আজ রাষ্ট্রদূত হকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সেলোমে জুরাবিচভিলি তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। ইতিপূর্বে জর্জিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র উপ-মন্ত্রীও রাষ্ট্রদূতকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। অপরাহ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে রাষ্ট্রদূত মোঃ আমানুল হক তিবলিসি শহর পরিভ্রমন করেন এবং রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এক নৈশ ভোজে অংশগ্রহন করেন।
গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে রাষ্ট্রদূত মোঃ আমানুল হক জর্জিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আলেকজান্ডার খুতিসিয়াসভিলি-এর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়ে তাঁর পরিচয় পত্রের কপি প্রদান করেন । অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আংকারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং জর্জিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (এশিয়া-প্যাসিফিক) রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার নালবান্দব ও দপ্তর প্রধান জনাব ডেভিড পিপিনাসভেলি । বৈঠকে উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। বিকালে তিবলিসির “পাবলিক সার্ভিস হল” পরিদর্শন করেন। যেখানে জর্জিয়ার জনসাধারনের জন্য ৪০০-এরও বেশী প্রকারের জনসেবামূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়।