১০ জানুয়ারি ২০২৪:
আজ (১০ জানুয়ারি ২০২৪, বুধবার) যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস” পালন করেছে রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ দাউদ আলী।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, পাকিস্তানের শাসন-শোষণ ও অত্যাচার-নির্যাতনের হাত থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। আন্দোলন-সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। ২৫ মার্চ কাল রাতে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে গণহত্যা চালাতে শুরু করে। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। অতঃপর বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পুরো ০৯ মাস বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি রেখে তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার নানা পরিকল্পনা তৈরি করে। জেলের মধ্যে অত্যাচার নির্যাতনই শুধু নয়, তাকে ফাঁসির মঞ্চেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা ও তার অদম্য সাহসের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী এবং সেনাবাহিনী। আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করে অবশেষে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু সোজা লন্ডন চলে যান। সেখান থেকে ভারত হয়ে ১০ জানুয়ারি স্বদেশে ফেরেন। সেদিন সারা দেশ থেকে মানুষ ছুটে আসেন তাদের নেতাকে একবার দেখর দেখার জন্য। স্বাধীন দেশে ফিরে আপামর বাঙালির ভালবাসায় সিক্ত হন বিশ্বমঞ্চের মহান নেতা ও বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের দুপুরের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান জনাব শেখ কৌশিক ইকবাল।