আবুধাবি, ১০ জানুয়ারি ২০২৪:
বাংলাদেশ দূতাবাস, আবুধাবি কর্তৃক যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস” পালন করা হয়েছে। দূতাবাস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, জনতা ব্যাংক লি., বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ স্কুলের প্রতিনিধি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সূচনাতে মান্যবর রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের পক্ষ হতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অতঃপর উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিবর্গ শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন।
এরপর, পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ এবং স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে, উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সামগ্রিক আলোচনা করেন। তারা বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে আমাদের বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পঞ্চমবারের মত নির্বাচনে জয়লাভ করায় বক্তাগণ তাকে অভিনন্দন জানান। একইসাথে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রবাসীগণ স্ব স্ব অবস্থান থেকে যথাসাধ্য ভূমিকা রাখবেন মর্মে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এই দিনে জাতি ফিরে পায় তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে। জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিনবছরের শাসনামলে বাংলাদেশকে সকল প্রতিকূলতা প্রতিহত করে একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সকল দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ থেকে দেশের জন্য স্বীকৃতি আদায় করেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রায় বিপুল অগ্রগতি অর্জন করেছে যার ধারাবাহিকতায় এদেশের জনগণ বারংবার তাকে নির্বাচিত করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে তিনি বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে উল্লেখ করেন। ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনারবাংলা তথা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রবাসীদের কার্যকরী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বক্তব্য সমাপ্ত করেন।
পরিশেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ এবং ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ এর শহিদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি এবং দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা