মানামা, বাহরাইন, ১০ জানুয়ারি ২০২৪:
বাংলাদেশ দূতাবাস, মানামা যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ ঐতিহাসিক ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উদযাপন করেছে। স্থানীয় সময় বিকাল ৪:০০ টায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, উন্মুক্ত আলোচনা এবং বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-এর উপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস বলেন, আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দিজীবন শেষে ১৯৭২ সালের এই দিনে জাতির পিতা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ণতা পেয়েছিল ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ ফেরার মাধ্যমে। তাই এই দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। জাতির পিতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল ক্ষেত্রেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। গৌরবময় স্বাধীনতা আমরা যার নেতৃত্বে অর্জন করেছি তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, জাতির পিতার নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট রাষ্ট্রে রুপান্তর করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এছাড়া, তিনি প্রবাসে বসবাসরত সকলকে দল ও মতের বিবেদ ভূলে একযোগে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা প্রধানমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।
পরিশেষে, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের পাশাপাশি বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।