হংকং, ০৭ মার্চ ২০২৪:
আজ ০৭ মার্চ ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, হংকং কর্তৃক কন্স্যুলেট প্রাঙ্গনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্যাপন করা হয়। হংকংস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, হংকং শাখার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব হংকং এর নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কনসাল জেনারেল মিজ্ ইসরাত আরা সকলের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এরপর কনসাল জেনারেল উপস্থিত সকলকে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী এরপর পাঠ করা হয়। পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান-এঁর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
মান্যবর কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর অসামান্য অবদান স্মরণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি দেশ-কালের গন্ডি ছাড়িয়ে সার্বজননীন হয়েছে এবং UNESCO কর্তৃক বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাঙ্গালী ও বিশ্বের সকলের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে শক্তি যুগিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক এই দিনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, দেশের শাসনভার জনগনের হাতে তুলে দেয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার উপায় সবই এই ভাষণে রয়েছে। পরিশেষে, তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্জনসমূহ উপস্থাপন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, বৈষম্যহীন এবং শোষণমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকলকে একযোগে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কনস্যুলেটের ভাইস কনসাল, জনাব মো: মারজুক ইসলাম। আগত অতিথিদেরকে আপ্যায়ন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।