১০ জানুয়ারী ২০২৪:
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল আজ যথাযথ মর্যাদায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপন করে। দিবসটি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা তাঁর বক্তব্যে বাঙালীর জাতীয় জীবনে এবং স্বাধীনতার সংগ্রাম পূর্ণতায় ১০ ই জানুয়ারী একটি ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঐতিহাসিক পটভূমি, দেশের স্বাধীনতায় ভূমিকা এবং তাঁর জীবনের আদর্শ ও দর্শনের উপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে প্রত্যাবর্তন করে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পূনর্গঠনের কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ধ্বংসযজ্ঞ থেকে দ্রুত মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে শুরু করে। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কর্মযজ্ঞে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়াবার সেই গতিকে ঘাতকের নির্মম বুলেট স্তব্ধ করে দেয়।
তিনি আরো বলেন যে, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থবারের মত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে তাঁর প্রতি দেশের জনগণের অগাধ আস্থা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রায় দেশের কল্যাণে সবাইকে একযোগে কাজ করার এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন। কনসাল জেনারেল জনবান্ধব কনস্যুলার সেবা নিশ্চিত করার জন্য কনস্যুলেট জেনারেলের সকল সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য, শহিদ জাতীয় চার নেতা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।