Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 30th March 2024
Press Release

বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, করাচিতে ২৬ মার্চ ২০২৪ তারিখে যথাযোগ্য মর্যাদা ও অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন

 

করাচি, ২৬ মার্চ ২০২৪ঃ

 

 বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, করাচি ২৬ মার্চ ২০২৪ তারিখে যথাযোগ্য মর্যাদা ও অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন করে।

 

সকাল নয় ঘটিকায় উপ-হাইকমিশনার এস. এম. মাহবুবুল আলম কর্তৃক জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। অতঃপর উপ-হাইকমিশনার মিশনের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অতিথিদের সঙ্গে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে সশ্রদ্ধ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পবিত্র কোর’আন থেকে তেলা’ওয়াত করা হয়। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। দিবসের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রথম সচিব জনাব আরিফ এলাহী এর সঞ্চালনায় এবং উপ-হাইকমিশনার এস. এম. মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ এর উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

 

উপ-হাইকমিশনার এস.এম. মাহবুবুল আলম তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বিনম্র শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যাঁর বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লক্ষ শহিদ, সম্ভ্রমহারা দুই লক্ষ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করে।

 

উপ-হাইকমিশনার আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পূর্বেই ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। জাতির পিতার ডাকে বাংলার মুক্তিপাগল জনতা উজ্জীবিত হয়ে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয়। তিনি উল্লেখ করেন, শূণ্য হাতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিয়ে বঙ্গবন্ধু ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসন করেন, অবকাঠামো পুনস্থাপন ও উন্নয়ন করেন, এবং উৎপাদন খাত ও অর্থনীতিকে একটি শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করান। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই জাতির পিতা দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেন এবং জাতিসংঘ সেই স্বীকৃতি প্রদান করে। জাতির পিতার কার্যকরী ও গতিশীল কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই বাংলাদেশ ১২৩টি দেশের স্বীকৃতি এবং ২৭টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে।

 

উপ-হাইকমিশনার নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা স্মরণ করে বলেন স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ লালন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মমর্যাদাশীল "সোনার বাংলাদেশ" বিনির্মাণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

2024-03-26