১৬ ডিসেম্বর ২০২৩:
ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ মনিরুল ইসলাম সকাল ১০.০০ ঘটিকায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং প্রবাসিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অতঃপর এক মিনিট নীরবতা পালন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব আয়োজন করা হয় দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে যেখানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ইতালির সকল শহরের প্রবাসী বাংলাদেশিগণ উপস্থিত ছিলেন। এ পর্বে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ এবং ‘স্বাধীনতা শব্দটি কি করে আমাদের হলো’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ছিলো অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি।
দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত দেশি-বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকলকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু এবং সকল শহিদের প্রতি তাদের গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বঙ্গবন্ধু ও শহিদদের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাষ্ট্রদূত জনাব মনিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী নেতৃত্বই ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের মূল চালিকা শক্তি। তিনি আরো বলেন যে, বঙ্গবন্ধু একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। মহান বিজয় দিবসের এই আনন্দঘন মুহূর্তে তিনি ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশীদের ঐক্যবদ্ধ সহাবস্থানের আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের সেবা কার্যক্রমের মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রবাসীদের আন্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেন। বর্তমান সরকারের প্রবাসী বান্ধব নীতির বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি উন্নত সেবা নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে দূতাবাস কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রতি আলোকপাত করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের বিদেহী আত্মার প্রতি মাগফিরাত কামনা করে এবং দেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সবাইকে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করা হয়।