ম্যানচেষ্টার, ২৭ মার্চ ২০২৪:
বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশন, ম্যানচেষ্টারে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’-এর গৌরবোজ্জ্বল ৫৩-বছরপূর্তি উদ্যাপিত হয়।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ ২০২৪ তারিখে সকাল ১০.০০ ঘটিকায় সহকারী হাই-কমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলণ করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়।
‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ ২০২৪ তারিখে সন্ধ্যায় ম্যানচেষ্টার, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস থেকে বাংলাদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বাংলাদেশী বংশোদ্ভ‚ত বিট্রিশ মেয়র, কাউন্সিলরবৃন্দ, কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণীর বিপুল সংখ্যাক বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে সহকারী হাই-কমিশনের চ্যান্সারীতে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে আগত অতিথিবৃন্দ-কে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ইফতার এবং নৈশভোজে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের চ‚ড়ান্ত বিজয়, বিশ্বমানচিত্রে জম্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। জাতির পিতার স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন ও ১৯৭১ এ সেই স্বাধীনতা প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার ৫৩-তম বার্ষিকীতে বাঙ্গালীর অবিসংবাদিত নেতার অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, জনগণের জীবন মান বৃদ্ধি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান আজ অত্যন্ত সম্মানের। তিনি উন্নয়নের সোপনে দ্রুত অগ্রসরমান বাংলাদেশের সোনার বাংলা রূপায়ণে সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করেন।