তাসখন্দ, উজবেকিস্তান, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
বাংলাদেশ দূতাবাস, উজবেকিস্তান আজ (২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪) যথাযথ মর্যাদার সাথে ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করে।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কর্তৃক জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্রদূত দূতাবাস প্রাঙ্গনে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বানী পাঠ করা হয় এবং এ দিবসের উপর নির্মিত একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ৫২’র ভাষা শহীদ, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ দূতাবাস উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে একটি আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ভারত, তুরস্ক এবং মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ডিপ্লোম্যাট, অধ্যাপক, গবেষক, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী মিলিয়ে তিন শতাধিক দর্শক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম তাঁর বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দেলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য এর উপর আলোকপাত করেন। ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বাংলা ভাষার আধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। ইউনেস্কো কর্তৃক ২১ শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান পৃথিবীর সকল মাতৃভাষা সংরক্ষনের পাশাপাশি তা বিভিন্ন ভাষাভাষী ও সংস্কৃতির মধ্যকার বন্ধুত্ব ও যোগাযোগকে আরো গভীর ও শক্তিশালী করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। অন্তর্ভু্ক্তিমূলক ও টেকসই সমাজ বিনির্মানে এবং বিশ্ব শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে আরো এগিয়ে নিয়ে তিনি বহুভাষা ও বহুসংস্কৃতিবাদকে আরো প্রসারিত ও বিকশিত করার উপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজ এর ভারপ্রাপ্ত রেক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ চুতপুলেটভ এবং উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ইউনেস্কো প্রতিনিধি মিস সারা নাশাদ।
উজবেকিস্তানের স্বনামধন্য শিল্পিবৃন্দ ও উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বাংলাদেশ, ভারত, চীন, তুরস্ক, রাশিয়া, উজবেকিস্তান ও ফ্রান্সের ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় সঙ্গীত ও নৃত্য মঞ্চস্থ হয়, যা দর্শকদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।