কায়রো, ১০ জানুয়ারি ২০২৪ঃ
মিসরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ-এ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্ণার কনফারেন্স রুমে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২৪’ পালিত হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। জাতির পিতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় মান্যবর রাষ্ট্রদূত মিজ্ সামিনা নাজ প্রথমেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতি সশ্রদ্ধ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে আরো স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের যাঁদের সর্ব্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। তিনি দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, দিবসটি পালনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মাধ্যমে জাতি স্বাধীনতার পূর্ণতা প্রাপ্তি লাভ করে বলে তিনি জানান।
আমাদের জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বাধীন ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা তাঁর স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অগ্রগতি ও উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এবং গত ১৫ বছরে টেকসই উচ্চ প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সদ্য টানা চতুর্থবারের মত পূনঃনির্বাচিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী-র জন্য শুভেচ্ছা ও সাফল্য প্রার্থনা করে রাষ্ট্রদূত বক্তব্য শেষ করেন। সবশেষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২৪’ স্মরণে একটি ডকুমেন্টারী প্রদর্শন এবং কেক কেটে দিবসটি উপযাপন করা হয়।