আংকারা, ০৩ জুন ২০২৪:
কনফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি এবং কমার্স সানকন (SANKON) হলো তুরস্কের ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়ক সংগঠন। সংগঠনটির চেয়ারম্যান জনাব ফেরুদুন জেবাহিরোলু এক বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য শেষে জানান, বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের সাথে ইতোমধ্যে তাঁরা বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন। কিন্তু দুপক্ষের অত্যন্ত আন্তরিকতা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে বিগত কয়েক বছরে আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। কোভিড-১৯, দুই দেশের জাতীয় নির্বাচন এর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এখন তাঁরা বাংলাদেশের সাথে বানিজ্য বাড়াতে সবরকমভাবে প্রস্তুত। আগামী ঈদ-উল-আযহার পরে বাংলাদেশ সফরেই তাঁরা কিছু বাণিজ্য চুক্তি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
০৩ জুন সানকনের আংকারাস্থ হেড অফিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব এম আমানুল হকের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি উপর্যুক্ত মন্তব্য করেন। উক্ত বৈঠকে তুরস্কের বেশকিছু স্বনামধন্য কোম্পানির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাষ্ট্রদূত, কাউন্সেলর এবং দ্বিতীয় সচিব সানকনের কার্যালয়ে পৌঁছালে চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা তাঁদের স্বাগত জানান।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রারম্ভিক বক্তব্য শেষে জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিব এরদোয়ানের সাথে আলাপকালেও তিনি একই বার্তা পেয়েছেন; যেটি হলো বানিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি। ভাতৃপ্রতীম দুটি দেশের বাণিজ্য দীর্ঘদিন থেকে এক বিলিয়ন ডলারের আশেপাশেই রয়েছে বলে তিনি জানান। অথচ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি সানকনের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত জানান যে, বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরাপদ এবং লাভজনক। সরকার থেকে প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে সেটি হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই যেহেতু দুতাবাস এবং সরকারের সংশ্লেষ থাকবে। বাংলাদেশের দক্ষ শ্রমিকের অপ্রতুলতা নেই এবং ব্যবসা পরিচালনাও তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল বলেও রাষ্ট্রদূত জানান। তিনি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বাংলাদেশ ভ্রমণ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সরেজমিন পরিদর্শনেরও আহ্বান জানান।
এছাড়াও বৈঠকে ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে বাংলাদেশ এবং তুরস্কের ভূমিকার বিভিন্ন ব্যাপার উঠে আসে এবং জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভে ফিলিস্তিনকে সমর্থ্যন অব্যহত রাখার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানানো হয়।