১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ম্যানচেষ্টার:
বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন, ম্যানচেষ্টারে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস এবং বাংলাদেশের মহান বিজয়-এর গৌরবোজ্জ্বল ৫২ বছরপূর্তি উদ্যাপন করা হয়। চ্যান্সারী ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ যুক্তরাজ্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সম্মানিত ব্রিটিশ-বাংলাদেশী নাগরিকগণ ও কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।
মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, এক মিনিট নীরবতা পালন, কেট কাটা বাণী পাঠ, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, বৃটিশ-বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের আয়োজনে বিজয় উৎসব উদ্যাপন, বৃটিশ-বাংলাদেশীদের সমন্বয়ে দেশত্ববোধক সংগীত পরিবেশন এবং মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্যের উপর বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের চ‚ড়ান্ত বিজয়, বিশ্বমানচিত্রে জম্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, জনগণের জীবন মান বৃদ্ধি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান আজ অত্যন্ত সম্মানের। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ একটি দায়িত্বশীল ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত।
বিজয় দিবসে আগত বৃটিশ-বাংলাদেশী বক্তারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার কর্মসূচী এই স্বপ্নের ধারাবাহিক বাস্তবায়নে তারা নিরসলভাবে কাজ করবেন মর্মে অঙ্গীকার করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠান শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী এবং ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।