হ্যানয়, ভিয়েতনাম ১০ জানুয়ারি ২০২৪:
বাংলাদেশ দূতাবাস হ্যানয়, ভিয়েতনামে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ লুৎফর রহমান চ্যান্সারী ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটির সূচনা করেন । দিনটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী অনুষ্ঠানে পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যগণ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। শেষে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। ভিয়েতনামিজ অতিথি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিবারবর্গ-এর উপস্থিতিতে দিবসটি চ্যান্সারীতে উদ্যাপিত হয়
রাষ্ট্রদূত দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনার সূত্রপাত করেন । বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নের্তৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন জাতির পিতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালী জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম সকল ক্ষেত্রেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। মহান নেতার আগমনে আগমনে মুক্তিযুদ্ধের চ‚ড়ান্ত বিজয়ের আনন্দ পরিপূর্ণতা লাভ করে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসুরী তাঁর কন্যা-মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ’টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি উপস্থিত সকলকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে স্ব স্ব অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে ধন্যবাদ ও বাংলাদেশী খাবার আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।