বাংলাদেশ দূতাবাস, জাকার্তা রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ তারিকুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-২০২৪’ উদযাপন করেছে। দূতাবাসের নোটিশ বোর্ডে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃক প্রেরিত বানী সমূহ সন্নিবদ্ধ করা হয়।
দূতাবাস প্রাঙ্গনে দুপুরে পবিত্র কোরআন হতে তেলায়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণীসমূহ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ পাঠ করেন। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে কর্মকর্তাগণ ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’-এর তাৎপর্য আলোচনা করেন। অতঃপর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন-এর উপর নির্মিত একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনাকে যুদ্ধবিদ্ধস্ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের অনিরুদ্ধ প্রেরণা ও আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন স্বাধীনতার স্থপতি ও রূপকার। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের পুনর্গঠন, সংবিধান ও বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ নীতি সমূহ প্রণয়নের দিক নির্দেশনা দেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে তৎকালীন সরকার কৃষি, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সর্বোপযুক্ত নীতি সমূহ গ্রহণ করে। বাংলাদেশের জনগণ বঙ্গবন্ধুর দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে সোনার বাংলা বিনির্মাণে বদ্ধ পরিকর এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত নীতিমালা বাস্তবায়ন করে চলেছে। তিনি আরো বলেন যে, স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে একটি গৌরবোজ্জ্বল স্থান করে নিয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে এবং জাতির পিতার সোনার বাংলা অর্জনে পথ পরিক্রমায় অগ্রসরমান রয়েছে। তিনি জাতির পিতা এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং সকলকে বঙ্গবন্ধুর দর্শন অর্জনের আহবান জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের সকল শহিদ এবং দেশ ও দেশের কল্যানে জীবন উৎসর্গকারী সকল মুক্তিযোদ্ধার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে আলোচনা সভার সমাপ্তি হয়।