১৭ ডিসেম্বর ২০২৩:
মহান বিজয় দিবসের ৫২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব)-এর সভাপতিত্বে সমাজের বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ ও মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর অংশগ্রহণে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে “Bangladesh’s Achievements in 52 Years and its Place in the Region and Beyond in the Coming Decades” শীর্ষক শিরোনামে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপি। সভার প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত প্রজাতন্ত্রের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর।
সভার শুরুতে রাষ্ট্রদূত মিজ্ মাশফি বিনতে শামস, রেক্টর, ফরেন সার্ভিস একাডেমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাঁর বক্তব্য প্রদান করেন। উক্ত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মিজ্ মাশ্ফী বিন্তে শাম্স্ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন।
সভার প্রধান আলোচক ভারত প্রজাতন্ত্রের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অর্জনসমূহের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে এর প্রভাবকে তুলে ধরেন। এছাড়াও, এম জে আকবর বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উত্থানের অন্যতম কারিগর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের অকুন্ঠ প্রশংসা ব্যক্ত করেন।
সভার প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের অর্জনসমূহ এবং ভবিষ্যত সমৃদ্ধি অর্জনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিবিধ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। উক্ত অর্জনসমূহের প্রমাণক হিসেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সংস্থা হতে প্রাপ্ত স্বীকৃতিসমূহের বর্ণনাও তিনি উপস্থিত অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন।
আলোচনা সভার সভাপতি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নের প্রমাণক বিভিন্ন অর্জনসমূহের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার বর্ণনা তুলে ধরেন। ভারত ও মায়ানমারের সাথে আন্তর্জাতিক জলসীমানা বিষয়ক বিতর্কের নিষ্পত্তি, আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক কূটনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-এর অবদানের কথা তিনি বর্ণনা করেন।
আলোচনা সভার সভাপতির বক্তব্য শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকলের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করা হয়।