১৭ মার্চ ২০২৪:
বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আজ (১৭ মার্চ, ২০২৪) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন স্থানীয় একটি স্কুলের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য আফটারস্কুল প্রোগ্রাম স্পনসর করার ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের এ ধরনের উদ্যোগ মিয়ানমারে এটাই সর্বপ্রথম।
রাষ্ট্রদূত ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি দিবসটি উপলক্ষে সকল শিশুকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক নীতি নিয়ে আলোচনা করেন যার মূল বিষয় বিশ্ব-শান্তি ও বন্ধুত্ব। তিনি বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় অবস্থানের কথাও উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন গুনাবলী উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকেই সৎ, সাহসী, পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, দানশীল, ত্যাগী ও নেতৃত্বের গুনাবলী সম্পন্ন ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের এই অনন্য দিকগুলো আমাদের নতুন প্রজন্মের মধ্যে ফুটিয়ে তোলার পরামর্শ দেন। ড. হোসেন শিশুদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, আজকের শিশুরাই ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হবে যারা তখন দেশকে নেতৃত্ব দেবে। তিনি শিশুদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতা এবং মানবিক গুণাবলীর বিকাশে সবাইকে একযোগে কাজ করার উপর জোর দেন।
পরে রাষ্ট্রদূত দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে রাষ্ট্রদূত শিশুদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের জন্য কেক কাটেন। দিবসটির অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, বাংলাদেশি ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।