চেন্নাই, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩:
ভারতস্থ বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশন, চেন্নাই যথাযোগ্য উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মহান বিজয়-এর ৫২ তম বছরপূর্তি উদ্যাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে চেন্নাই-এ অবস্থিত “Avichi College of Arts and Science” এবং বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশন যৌথভাবে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি ‘Creative Content’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
অন্যান্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিজয়ী প্রতিযোগীদের Creative Content-এর ওপর উপস্থাপনা। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে তামিলনাড়ু সরকারের পর্যটন ও সংস্কৃতি বিভাগের অতিরিক্ত মূখ্য সচিব Dr. K. Manivasan IAS, চেন্নাইস্থ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় প্রধান Mr. Venkatachalam IFS, কলেজের সচিব Mr. AVM K. Shanmugam-সহ চেন্নাইতে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কলেজের-এর অধ্যক্ষ Dr. Bhuma Natesan বাংলাদেশের মহান বিজয়ের ৫২-তম বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। Dr. K. Manivasan IAS তাঁর বক্তব্যে বাংলাদশের স্বাধীনতার পথ পরিক্রমায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর অসামান্য অবদানের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং সাম্প্রতিক উন্নয়ন বিশেষতঃ আর্থসামজিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
জনাব শেলী সালেহীন, উপ-হাই কমিশনার তাঁর বক্তব্যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদদের, এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ত্রিশ লাখ শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং আত্মত্যাগের কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ভারতীয় সেনাসদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথাও তিনি স্মরণ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি বিকাশমান অর্থনীতি, স্থিতিশীল গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও জনাব সালেহীন তার বক্তব্যে তুলে ধরেন ।
উপ-হাই কমিশন প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। জনাব শেলী সালেহীন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ‘মহান বিজয় দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর, দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা বিশেষভাবে উঠে আসে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতির বিষয়েও আলোচনায় আলোকপাত করা হয়। বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে মিশনে আয়জিত কর্মসূচির সমাপ্ত করা হয়।"