Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 11th January 2024
Press Release

যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ দূতাবাস, মস্কোতে “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস”-২০২৪ উদযাপন।

 

১০ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি.

 

যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ দূতাবাস, মস্কো, রাশিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ ‍মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করা হয়েছে। পাকিস্তানের কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন বন্দি জীবন শেষে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। রাশিয়ান ফেডারেশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব কামরুল আহসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত  আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও বিজয় অর্জনের নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিশ্লেষণ করেন। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব কিভাবে অবহেলিত বাংলার মুক্তিকামী সাধারণ মানুষকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য উৎসাহ ও সাহস যুগিয়েছিল; বক্তাদের আলোচনায় তা বিস্তারিতভাবে উঠে আসে। অকুতোভয় বীর মক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা, দেশপ্রেম ও সাহসিকতার একমাত্র আশ্রয়স্থল বঙ্গবন্ধুর প্রতি আলোচকবৃন্দ তাঁদের আলোচনায় শ্রদ্ধা,সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

 

আলোচনাসভায় সভাপতির ভাষণে রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান চুড়ান্ত লক্ষ্যের প্রতি অটল-অবিচল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম, এই দীর্ঘপথে বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্ব কিভাবে সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য ধীরে ধীরে প্রস্তুত করেছিল তার উদাহরণ বিশ্বে বিরল। রাষ্ট্রদূত মনে করেন যে, বঙ্গবন্ধুহীন অপূর্ণাঙ্গ বিজয় পূর্ণতা লাভ করে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি; যেদিন তিনি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। যখন যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত বাংলাদেশের পূনর্গঠন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে  সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হচ্ছিল, ঠিক সেই সময় সপরিবারে তাঁর নির্মম হত্যাকান্ড দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান মনে করেন। বঙ্গবন্ধুর অপূর্ণ সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এবং এই অগ্রযাত্রায় সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।  উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।

2024-01-10
Download