ম্যানচেষ্টার, ১৭ মার্চ ২০২৪:
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন এবং তাঁর বৈশ্বিক শান্তি ও ভালবাসার দর্শনকে কেন্দ্র করে আয়োজিত নানা কার্যক্রমে ম্যানচেষ্টারস্থ বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং শিশু কিশোরদের স্বত:স্ফ‚র্ত অংশগ্রহণে পালিত হলো বঙ্গবন্ধুর জম্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪।
দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ। এর পরে, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর একটি বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এছাড়া, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও বিনির্মাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ এবং জীবন ও আদর্শের উপর আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা আয়োজিত হয়।
সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান তার বক্তব্যের শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন যে, মা, মাতৃভ‚মি আর মাতৃভাষা যেমন অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে আবদ্ধ, তেমনি বঙ্গবন্ধু, বাঙ্গালী জাতি আর বাংলাদেশ একই সুতোয় গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর অদম্য নেতৃত্ব এবং কোমল হৃদয়-এই দুয়ের সম্মিলনে কীভাবে তিনি শেখ মুজিব থেকে একটি জাতির পিতায় পরিণত হলেন, সে কাহিনী গল্পের মতো করে শোনান সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান। দেশ ও জাতির সর্বোচ্চ কল্যাণার্থে বজ্র কঠিন সিদ্ধান্ত আবার একই সঙ্গে শিশু সুলভ সারল্য কেবল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই ধারণ করেছিলেন বলে তিনি কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিতে পেরছিলেন আর ইতিহাস তাঁকে দিয়েছিল সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর স্থান।
তিনি আরো বলেন যে, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে অতি দ্রæত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি মিত্র বাহিনীর বাংলাদেশ ত্যাগ, আর্ন্তজাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের অতি দ্রæত স্বীকৃতি আদায়ে সফল হন। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার কর্মসূচী এই স্বপ্নের ধারাবাহিক বাস্তবায়ন প্রয়াস। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানানো হয়। আলোচনা সভায় ম্যানচেষ্টারস্থ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের শেষে স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং ১৫ই আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।