আংকারা ২৬ মার্চ ২০২৪:
উৎসবমূখর আবহের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস, আংকারায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। দিবসের শুরুতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক-এর নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর মান্যবর রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
দ্বিতীয়পর্বে দূতাবাস-এর মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ এবং মু্ক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অত:পর দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কমিনিউটির পক্ষ থেকে অবসরপ্রাপ্ত লেফট্যানেন্ট কর্নেল নাসির হায়দার, দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান এবং তুরস্কে অবস্থানরত কন্ট্রলার জেনারেল অব অ্যাকাউন্টস জনাব আবুল কালাম আজাদ। সবশেষে, মান্যবর রাষ্ট্রদূত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন যাদের চূড়ান্ত আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তিনি আরোও বলেন, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বমূহুর্তে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাতৃভূমিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস বঙ্গবন্ধুকে বন্দি করে রাখা হয়। পাকিস্তানের পরাধীনতা থেকে মুক্তির লড়াইয়ে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়। ৯ মাসের যুদ্ধে এত বেশি মানুষ হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দুরদূর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক উন্নয়নের চিত্র, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রসরতা এবং বাংলাদেশের অর্জনসমূহের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অত:পর তিনি জাতির পিতার সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণ ও বৈষম্যহীন স্বপ্নের ‘সোনারবাংলা’ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘ভিশন-২০৪১’ বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে সকলকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকার এবং সকল প্রবাসীকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান।