বাংলাদেশ দূতাবাস, জাকার্তা যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় মহান ‘শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করেছে। দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। দিবসের শুরুতে দূতাবাস প্রাঙ্গনে নতুন স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে দূতাবাসের কর্মচারী, স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশি, ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণা ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং ইউনেস্কোর প্রতিনিধিগণ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াত করা হয়। এরপর সকল ভাষা শহিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন। দূতাবাসে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ তারিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা আন্দোলনের সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং দিবসটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। তিনি মাতৃভাষা লালনের গুরুত্ব এবং জাতি গঠনে মাতৃভাষার মূল্যের উপর আলোকপাত করেন। সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তা, প্রবাসী বাংলাদেশিগণ, ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণা ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং ইউনেস্কোর প্রতিনিধিবৃন্দ দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর আলোচনা করেন। অতঃপর মহান ‘শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। জাকার্তায় বসবাসরত শিশু কিশোররা চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানের শেষে সকল ভাষা শহিদের আত্মার মাগফিরাত ও দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয় এবং আগত অতিথিবৃন্দের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।