Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 31st May 2023
Press Release

ইসলামাবাদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

 

ইসলামাবাদ, ২৯ মে ২০২৩:

 

ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী দুই পর্বে উদযাপন করছে। এ উপলক্ষ্যে দূতালয় প্রাঙ্গন ব্যানার, স্ট্যান্ডি, ফেস্টুন ও পোস্টারে সুসজ্জিত করা হয়।

 

প্রথম পর্বের শুরুতে দূতালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর হাইকমিশনার মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বে হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

 

হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। হাইকশিনার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত হয়েছিলেন বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য। হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর বিশ্বমানের নেতৃত্বের উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে আহ্বান করেছিলেন যাতে কোন নিরীহ বাঙ্গালিকে হত্যা করা না হয়। বঙ্গবন্ধু সেদিন স্বাধীনতাকামী মানুষদের শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধুর সে ভাষণ সার্বজনীন এবং কালজয়ী হয়ে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে। আজকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে মূলনীতি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’ শান্তির এই প্রতিপাদ্যটি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তি তাঁকে শুধু বিশ্বের প্রথম সারির নেতৃত্বের কাতারেই অধিষ্ঠিত করে নাই, বিশ্ববাসীর চোখে তাঁকে হিমালয়সম উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে এবং বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী জাতিকেও করেছে গৌরবান্বিত।

 

হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছেন। মিয়ানমারে নিপিড়ীত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বদরবারে শান্তি ও মানবতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেটার স্বীকৃতস্বরূপ তিনি ‘মাদার অব হিউমিনিটি’ বা ‘মানবতার মা’ পদকে ভূষিত হয়েছেন। তাছাড়াও, বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা প্রসার, যুদ্ধ ও সংঘাত নিরসন, দক্ষিণ এশিয়ায় পারমানবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে তাঁর উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি সাউথ সাউথ পুরস্কার, চ্যাম্পিয়নস অব দি আর্থ, গেøাবাল উইমেনস লিডারশিপ পুরস্কার, এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার, শান্তিবৃক্ষ পুরস্কারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মাননা লাভ করেন। এ সকল পুরস্কার বাংলাদেশের জন্য অনন্য গৌরব বয়ে এনেছে। বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত শান্তির পথে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নয়নের পথে যেমন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, একই সাথে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ অন্যতম প্রধান শান্তিরক্ষী প্রদানকারী দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়াও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের Culture of Peace বা শান্তির সংস্কৃতি রেজুলেশন উপস্থাপনা/পাশ করানোয় বাংলাদেশ অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে।  

 

বক্তব্যের শেষে হাইকমিশনার সকল ভেদাভেদ ভুলে জাতির পিতার অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধমে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি  সুখি-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানে যার যার অবস্থানে থেকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।  

 

আলোচনা পর্ব শেষে, জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। উল্লেখ্য যে, উদযাপনের ২য় পর্বে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান উপজীব্য করে আগামী ০৩ জুন ২০২৩ তারিখে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।  

2023-05-29