মাস্কাট, ২৬ মার্চ ২০২৩:
বাংলাদেশ দূতাবাস, মাস্কাট এ 'স্বাধীনতার সোপানে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৬ মার্চ ২০২৩ তারিখ ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস- ২০২৩ পালিত হয়েছে। মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ নাজমুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ওমানে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেনি পেশায় নিয়োজিত বিশিষ্ট প্রবাসী বাংলাদেশিগণ, ব্যবসায়ী এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
এ দিন সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর দূতাবাসের অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং দূতাবাসের অভ্যন্তরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন, পবিত্র ত্রিপিটক ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করে শোনানো হয়।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ নাজমুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি উপস্থিত সকলকে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ও দু লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা এ স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর মত স্বাধীন দেশ, একটি গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। এসময় তিনি মক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সাহায্যকারী বন্ধু রাষ্ট্রসমূহকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন স্বাধীনতা একটি জাতির জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ অর্জন। তাই অনেক কষ্টে ও সর্বোচ্চ আত্নত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা করতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। তিনি ওমান প্রবাসী সকল বাংলাদেশীকে স্থানীয় আইন কানুন মেনে চলার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং বৈধ উপায়ে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেন।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহদিদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দূতাবাসের চেন্সেরি ভবনকে আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়।
উল্লেখ্য ১৯ মার্চ ২০২৩ তারিখ ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে অত্র দূতাবাস শেরাটন ওমান হোটেলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উক্ত অনুষ্ঠানে ওমান সরকারের কৃষি , মৎস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রী ড. সৌদ বিন হামুদ বিন আহমাদ আল হাবসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।