করাচি, ৭ মার্চ ২০২৪ঃ
অদ্য বৃহস্পতিবার, ৭ই মার্চ ২০২৪ তারিখ সকালে মিশনের সকল কর্মকর্তা, নিয়ে উপ-হাইকমিশনার এস.এম. মাহবুবুল আলম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অতঃপর দিবসের উপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। বাণী পাঠ শেষে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর উপর দুইটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অতঃপর উপ-হাইকমিশনার এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম সচিব জনাব মোঃ আরিফ এলাহী এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তাগণ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর বক্তব্য প্রদান করেন। সভাপতির বক্তব্যের শুরুতে উপ-হাইকমিশনার এস.এম. মাহবুবুল আলম গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গভীর শ্রদ্ধাভরে তিনি আরো স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লক্ষ শহিদ, সম্ভ্রমহারা দুই লক্ষ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করে।
উপ-হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ও মুক্তির ডাক দিয়েছিলেন। সমগ্র বাঙালি জাতি সেদিন মহান স্বাধীনতা ও মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। আর নিপীড়িত, নির্যাতিত বাঙালি জাতি খুঁজে পেয়েছিল শোষণ, অত্যাচার, বঞ্চনামুক্তির কাঙ্খিত পথ ও অদম্য শক্তি। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির চির কাঙ্খিত স্বাধীনতা।
উপ-হাইকমিশনার আরো উল্লেখ করেন জাতির পিতার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সার্বজনিনতা ও গুরুত্ব উপলব্ধি করে UNESCO ৩০ অক্টোবর ২০১৭ সালে এ ভাষণকে ”World Documentary Heritage” হিসাবে ”Memory of the World Instrumental Register” -এ অন্তর্ভূক্ত করে। UNESCO কর্তৃক এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের আর এর মাধ্যমে এটি এখন স্বীকৃত যে, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ এখন কেবলমাত্র বাংলাদেশের নয়, বরং বিশ্বব্যাপী সকল স্বাধীনতাকামী, নির্যাতিত, শোষিত, অত্যাচারিত, বঞ্চিত মানুষের জন্য সার্বজনীন ও চিরন্তন প্রেরণার উৎস।