তাসখন্দ, ২৬ মার্চ ২০২৪:
বাংলাদেশ দূতাবাস, তাসখন্দ আজ (২৬ মার্চ ২০২৪) যথাযথ মর্যাদা ও উদ্দীপনার সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করে। উজবেকিস্তানের একাডেমিক, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া অঙ্গন থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশীরা এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বানী পাঠ করা হয়।
এ দিবসের উপর নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী করার পরে “আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ” শীর্ষক শিরোনামে একটি গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ট ও দূরদর্শী অবদানের কথা তুলে ধরে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি কৃতজ্ঞতা চিত্তে স্মরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যারা দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি উজবেকিস্তানসহ বন্ধু প্রতিম সকল দেশের জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সমর্থন করেছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, বিশেষ করে দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য ও অর্জন এবং বিশ্ব শান্তি ও অগ্রগতিতে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা সকলকে অবহিত করেন। বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের মধ্যকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় যোগসূত্রের প্রতি আলোকপাত করে এ সম্পর্ককে আরো গতিশীল ও অর্থবহ করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উপস্থিত অতিথিবৃন্দ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের জনগনকে অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সম্পর্ককে আরো সম্প্রসারিত করতে বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, টেকনোলজি ও পর্যটন খাতে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুন:ব্যক্ত করেন।