হংকং, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪:
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, হংকং কর্তৃক আজ মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে Sheung Wan Civic Centre-এ যথাযথ মর্যাদায় পালিত হলো মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মত ব্রাজিল, মিশর, জার্মানী, হাঙ্গেরী, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, রাশিয়া, লাওস, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র, হংকং (চীন), বেলারুশ, ভেনেজুয়েলা, জিম্বাবুয়ে-এর কনসাল জেনারেলস, ডেপুটি কনসাল জেনারেল ও অন্যান্য কর্মকর্তাসহ মোট ১৬ দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, হংকং-এ বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন।
দিবসের শুরুতে কনসাল জেনারেল মিজ্ ইসরাত আরা কনস্যুলেটের অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করেন। পবিত্র কোরাআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বানী পাঠ করা হয়। এরপর দিবসটির উপর নির্মিত একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
মান্যবর কনসাল জেনারেল মিজ্ ইসরাত আরা তাঁর স্বাগত বক্তব্যে মাতৃভাষার অস্তিত্ব রক্ষা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ভাষা সংগ্রামের পথ ধরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহ ও প্রবাসী দু’জন বাংলাদেশীর উদ্যোগে এ দিবসটি আজ বিশ্ব দরবারে সুমহান মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত। তিনি আরও বলেন, 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এ দিবস শুধু বাংলাদেশের নয়, পৃথিবীর সব দেশ ও সংস্কৃতির। তাই এই দিনটি, পৃথিবীর সকল দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এরপর কনসাল জেনারেল-এর নেতৃত্বে উপস্থিত অন্যান্য কনসাল জেনারেল ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা মহান ভাষা শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, হংকং-কর্তৃত নির্মিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, জার্মানী, ভারত, ফিলিপাইনস ও রাশিয়া-এর শিল্পীদের অংশগ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়, যা উপস্থিত দেশী ও বিদেশী অতিথিদের বিমুগ্ধ করে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। সবশেষে, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে অতিথিদেরকে আপ্যায়ন করা হয়। আগত অতিথিরা এরকম একটি দিবস সম্পর্কে জানতে পেরে এবং অংশগ্রহন করতে পেরে কনসাল জেনারেলসহ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।