সিট্যুয়ে, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩:

বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিট্যুয়ে, যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে। দুই পর্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে মিশন প্রধান জাকির আহমেদ ও কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সকালে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। এরপর মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আয়োজিত প্রভাত ফেরীতে অংশগ্রহণ করেন। প্রভাত ফেরী শেষে অংশগ্রহণকারীগণ শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর মিশনের কর্মকর্তাগণ দিবসটি উপলক্ষে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করেন। এ সময় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।  

কনস্যুলেটের মিশন প্রধান জাকির আহমেদ ও প্রথম সচিব মোঃ শরীফুল্লাহ আল মাহমুদ দিবসটি উপলক্ষে বক্তব্য রাখেন। মিশন প্রধান, জাকির আহমেদ তাঁর বক্তব্যে দেশের স্বার্থকে সর্বাগ্রে স্থান দিতে শহিদ দিবসের চেতনাকে বুকে ধারন করে দেশের অগ্রযাত্রায় নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এরপর মিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে সকল ভাষা শহিদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শাহাদাত বরণকারী অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের অব্যাহত সুখ সমৃদ্ধির কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে, পরদিন সন্ধ্যায় কনস্যুলেট একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে রাখাইন শিল্পীগন বাংলা ও রাখাইন সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া, সিট্যুয়ে কনস্যুলেট কর্তৃক নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে সিট্যুয়েস্থ জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ইউনেস্কো এর মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিগণের অনেকেই নিজ নিজ ভাষার বৈচিত্র উপস্থাপন করেন ও সংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের নৈশভোজের মাধ্যমে আপ্যায়িত করা হয়।

গৃহযুদ্ধ ও অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যেও আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রাখাইন রাজ্যের ভারতীয় কনস্যুলেটের কূটনীতিকবৃন্দ, রাখাইন স্টেটের সরকারি কর্মকর্তা, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিসহ, UNICEF, UNHCR, UNOCHA ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউথ গ্রুপের নেতৃবৃন্দ, রাখাইন ও রোহিঙ্গা ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, রাখাইন স্টেট চেম্বার অব কমার্স-এর সভাপতিসহ রাখাইনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।