তাসখন্দ, ০৪ মার্চ ২০২৪:
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আজ (৪ মার্চ ২০২৪) সামারকান্দ রিজিয়নের গভর্নর, তুর্দিমভ আর্কিনজন এর সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় গভর্নর অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধন ও যোগসূত্রের বর্ণনা দিয়ে এ সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠতর ও প্রসারিত করতে ঐতিহাসিক সিল্ক রোড এর অন্যতম কেন্দ্রস্থল হিসেবে খ্যাত সামারকান্দ অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন। বিশেষ করে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য,সাংস্কৃতিক ও পর্যটন বিকাশে কার্যকরী ও ফলপ্রসু অবদান রাখতে পারে বলে তিনি যোগ করেন। বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর আলোকপাত করে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য ও ওষুধ আমদানি করতে সামাকান্দের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে উৎসাহিত করতে রাষ্ট্রদূত গভর্নরকে অনুরোধ করেন। সামারকান্দে ইমাম বুখারী (রহ:) এর সমাধিস্থল ও অন্যান্য তাৎপর্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক স্থাপনাসমূহ বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, সুন্দরবন এবং শাহজালাল (রহ:) এর মাজার উজবেকিস্তানের ভ্রমন পিপাসুদের আকৃষ্ট করতে পারে বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ এই সম্পর্ককে আরো মজবুত ও গভীর করতে তিনি সামারকান্দের সাথে বাংলাদেশের অনুরূপ একটি শহরের মধ্যে ‘সিস্টার সিটি’ বিষয়ক একটি সহযোগিতা স্মারক করার ওপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সামারকান্দ রিজিয়নের গভর্নর তুর্দিমভ আর্কিনজন ‘সিস্টার সিটি’ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক ও পর্যটন সহযোগিতাকে আরো গতিশীল করতে তিনি রাষ্ট্রদূতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। এ প্রেক্ষিতে তিনি বাংলাদেশ থেকে একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল সামারকান্দে প্রেরণের জন্যে অনুরোধ করেন। তিনি সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম পৃথক পৃথকভাবে সামারকান্দে অবস্থিত সামারকান্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি এর রেক্টর ড.খালমুরাদভ রুস্তম ইব্রাগিমভিছ এবং সামারকান্দ স্টেট আর্কিটেকচারাল ও সিভিল ইনিঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট এর রেক্টর এরকান কাকিয়া এর সাথে বৈঠক করেন এবং বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে শিক্ষা সহযোগিতা, বিশেষ করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়কে আরো সহজ, সরল ও সাবলীল করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও কৌশল নিয়ে মত বিনিময় করেন।