১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি.
বাংলাদেশ দূতাবাস, মস্কো যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদযাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে পালিত কর্মসূচীর প্রথম পর্বে ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে দিনের প্রথম প্রহরে দূতাবাস প্রাঙ্গনে রাশিয়ান ফেডারেশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব কামরুল আহসানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের আত্মার শান্তি এবং দেশের সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানের সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো: আলী হোসেন। উক্ত আলোচনা সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং রাশিয়ায় বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। । শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে নীরবতা পালন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
মূল আলোচনা সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও আমন্ত্রিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বিজয়ের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আত্মত্যাগকারী বীরাঙ্গনাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তাঁরা লাখো শহিদের রক্তে অর্জিত এই বিজয়কে সমুন্নত রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাঙলা বিনির্মাণের চেষ্ঠায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো: আলী হোসেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। তিনি নির্মাণাধীন রুপপুর পারমানরিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়ার সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বন্ধুরাষ্ট্র রাশিয়ার সাথে দ্বিপাক্ষীক সম্পর্ক উত্তরোত্তর আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভার সভাপতি রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বর্ণনা করেন। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ পুনর্গঠনে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বহুমুখী সহযোগিতার কথা তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে এমন অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্রের সাথে দ্বিপাক্ষীক সস্পর্ক উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও রাষ্ট্রদূত বিভিন্নক্ষেত্রে দূতাবাসের নানাবিধ উদ্দোগ ও অর্জন বিষয়ে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্য উদাত্ত আহবান জানান। ।
পরিশেষে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষিত হয়।