২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪:
ইতালির রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় "শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪" পালন করেছে। দিবসের বিশেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সকালে দূতাবাস চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সকাল ১১ টায় দূতাবাসের আয়োজনে দূতাবাস প্রাংগণে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ মনিরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে মাতৃভাষার অস্তিত্ব রক্ষা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ভাষা সংগ্রামের পথ ধরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিক-নির্দেশনায় বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এ দিবস পৃথিবীর সকল দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে দিবসটি উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
তৎপূর্বে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ সকাল ০৯ ঘটিকায় ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত আইজাক রবিন পার্কে স্থাপিত স্থায়ী শহীদ মিনারে বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম-এর উদ্যোগে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের আয়োজন করা হয়। ভাষা শহীদদের সম্মানে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে মহিমান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রয়াসে ইতালীয় সরকারের সহায়তায় রবিন পার্কে ২০১১ সালে শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। প্রথমেই রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ইতালিস্থ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরাও একে একে দলবদ্ধভাবে শৃংখলার সাথে এসময় ফুল দিয়ে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সকলের সামনে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।