২৬ মার্চ ২০২৪:
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্কে আজ (২৬ মার্চ ২০২৪) একটি অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়। উক্ত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কনসাল জেনারেল, কূটনীতিক, ব্রঙ্কস বরো প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রতিনিধি, গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মার্ক জেফ ও নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের প্রতিনিধিসহ বিদেশী অতিথিবৃন্দের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ও মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, ৭১-এর সকল শহিদ, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহিদ বুদ্ধিজীবী ও জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা তাঁর স্বগতিক বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন ত্রিশ লক্ষ শহিদ ও দুই লক্ষাধিক নির্যাতিত মা-বোনদের অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা। তিনি আরও স্মরণ করেন আন্তর্জাতিক বন্ধু বিশেষ করে প্রতিবেশী ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন নেতৃত্ব, যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুপ্রতীম জনগণ ও অন্যান্য যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে নৈতিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক সমর্থন দিয়েছেন। জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল অর্থনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অর্জন ও সাফল্যগাঁথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে সল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রবাসী সব বাংলাদেশীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের উন্নয়নে আরো কার্যকরী ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী ও বাণিজ্য অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্বিপাক্ষক সম্পর্ক জোরদাকরণে নতুন অধ্যায় শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কনসাল জেনারেল দু’দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু প্রণীত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল ভিত্তি “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়” অনুসরণে বৈশ্বিক শান্তি ও অগ্রগতি অর্জনে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু সম্মাননা প্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক লিয়ার লেভিন, মেয়র অফিসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিশনার জনাব দিলীপ চৌহান ও বিচারপতি সোমা সাইদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মহা-হিসাব নীরিক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোঃ নূরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, জাতীয় চার নেতা, ৭১-এর সকল শহিদ, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও অগ্রগতির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।