তাসখন্দ, ১৭ মার্চ ২০২৪:
বাংলাদেশ দূতাবাস উজবেকিস্তান আজ (১৭ মার্চ ২০২৪) যথাযথ মর্যাদার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করে। উজবেকিস্তানের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডীন, অধ্যাপক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জনগনের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সহ সকল আন্দোলনে তাঁর বলিষ্ঠ ও দুরর্দশী নেতৃত্ব ও অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়” উল্লেখপূর্বক সকলের জন্য একটি সুন্দর ও শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতির গুরুত্ব, প্রাসঙ্গিকতা ও বাস্তবায়েনের উপর আলোকপাত করেন। বঙ্গবন্ধুর জীবন, সংগ্রাম, ত্যাগ ও দেশপ্রেম সমগ্র বিশ্বের মুক্তিকামী ও শান্তিকামী জনগণের জন্য এক চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত যোগ করেন। জাতির পিতার আদর্শ ও দর্শন সহ বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি উজবেকিস্তানে পরিচিতি ও প্রসারে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উজবেকিস্তানের স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজ এর অনুবাদ বিভাগের ডীন ড. উলুগবেগ এবং অধ্যাপক ড. খোলমাতোভা বেগুইম। ড. বেগুইম, যিনি ইতিপূর্বে বঙ্গবন্ধুর উপর রচিত কয়েকটি কবিতা উজবেক ভাষায় অনুবাদ করেছেন, তিনি বলেন যে, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের জাতির পিতাই নয়, তিনি পৃথিবীর সমগ্র শান্তিকামী মানুষের নেতা। তিনি বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবন ও কর্ম উজবেকিস্তানে তুলে ধরতে অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা রাখবেন বলে সকলকে অবহিত করেন।
দিবসটি উপলক্ষে একটি চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু-কিশোর স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।