বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে – প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে ব্রাসিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আনন্দঘন পরিবেশে জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রারম্ভে দূতাবাস প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা তাঁর বক্তব্যে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দেয়ার জন্য জাতির পিতাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং ১৫ আগষ্ট নির্মম হত্যাকান্ডে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত ভালো বাসতেন এবং শিশুদের অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘ শিশু সনদের ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রনয়ণ করেছিলেন। শিশু শিক্ষার বিকাশ নিশ্চিত করতে প্রাথমিক শিক্ষাকে বঙ্গবন্ধু জাতীয়করণ করেন। রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা বাংলাদেশের ক্রমঅগ্রসরমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত উপস্থিত শিশুদের নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সমসাময়িক সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন যেখানে শিশুরা সপ্রতিভ ভাবে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সকলকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও কর্ম ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে প্রচার করার আহ্বান জানান। শিশুদের মনে প্রকৃত দেশপ্রেম জাগ্রত করে তাদের মনন ও সৃজনশীলতার বিকাশে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্য কারিগর হিসেবে মানবিক চেতনাসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার আহবান জানান।
পরিশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বুদ্ধিজীবিদের আত্মার মাগফেরাত এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের সার্বিক কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।