Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 22nd February 2023
Press Release

আসামের গুয়াহাটিতে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

 

গুয়াহাটি, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩:

 

বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের আয়োজনে আসামের গুয়াহাটিতে যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও বিনম্র শ্রদ্ধায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে । এ উপলক্ষে সকালে গুয়াহাটিস্থ কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে একটি আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসাম রাজ্য সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ননী গোপাল মহন্ত । সম্মানিত অতিথি হিসেবে কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর রমেশ চন্দ্র ডেকা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী পুলক ব্যানার্জী ও প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখিকা অনুরাধা শর্মা পুজারী উপস্থিত ছিলেন । প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক অতিথিী এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর পর শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ এবং অসমীয়া ভাষায় ‘চির চেনেহী মোর ভাষা জননী’ গান দু’টি পরিবেশন করেন । এরপর দিবসটির তাৎপর্যের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও ইউনেস্কো’র মহাপরিচালক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয় ।

 

স্বাগত বক্তব্যে গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে মহান ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য তুলে ধরেন । তিনি বহুভাষিকতা ও বিলুপ্তপ্রায় ভাষা সংরক্ষণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেন । প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে ভাষা আন্দোলনের ভূমিকার ব্যাপারে আলোকপাত করেন । তিনি এ দিবসের মাধ্যমে মাতৃভাষায় শিক্ষার গুরুত্ব বিশ্বপরিমণ্ডলে ছড়িয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন ।

 

এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রফেসর রমেশ চন্দ্র ডেকা, পুলক ব্যানার্জী, অনুরাধা শর্মা পুজারী এবং কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ডঃ প্রশান্ত চক্রবর্তী দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ।

 

আলোচনা পর্ব শেষে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরে সঙ্গীত, নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে একটি সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয় । এ পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা, সংস্কৃত, হিন্দী, আরবী, বোড়ো সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের চমৎকার পরিবেশনায় অতিথিদের মুগ্ধ করেন ।

 

দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয় একুশের প্রথম প্রহরে সহকারী হাইকমিশনার কর্তৃক দূতালয় প্রাঙ্গনে অবস্থিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে । এছাড়া সকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর প্রেরিত বাণীসমূহ পাঠ করা হয় ।

2023-02-21