করাচি, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩:
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, করাচি রোজ বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে যথাযোগ্য মর্যাদা ও অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং বিশেষ দো’আ ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করা হয়। অতঃপর শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। দিবসের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অতঃপর উপ-হাইকমিশনার এস.এম. মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে দিবসটির উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
উপ-হাইকমিশনার এস.এম. মাহবুবুল আলম তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ত্রিশ লক্ষ শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি জাতির সূর্যসন্তান শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন যে, বাঙালি জাতি চিরকাল তাঁদের আত্মত্যাগ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
উপ-হাইকমিশনার বলেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেন। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ ছিনিয়ে আনে চূড়ান্ত বিজয়। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে, শিল্প-সাহিত্যের চর্চা তথা ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরী এবং যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক পরামর্শ দিয়ে মহান যুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বুদ্ধিজীবীগণ জাতির সূর্যসন্তান।
উপ-হাইকমিশনার বলেন জাতীর পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র, অশিক্ষা মুক্ত, উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ, জ্ঞান-ভিত্তিক ও মর্যাদাশীল সোনার বাংলা বিনির্মাণে শহিদ বুদ্ধিজীবীরা সর্বদা প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।