Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 18th April 2020

ফরেন সার্ভিস ডে তে সর্বাগ্রে দেশ ও দেশ সেবার অঙ্গীকার


Publish Date: 2020-04-18
 
১৮ এপ্রিল ২০২০:   মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশী কূটনীতিকগণের সাহসী ও গৌরবময় অবদানের স্মরণে ১৮ এপ্রিল দিনটি ফরেন সার্ভিস ডে হিসেবে পালন করা হয়। ২০১২ সাল হতে ১৮ এপ্রিল ফরেন সার্ভিস ডে হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ -এ মুজিবনগরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে রাষ্ট্রপতি করে নবগঠিত বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশপূর্বক এবং দখলদারি পাকিস্তান সরকারকে ত্যাগ করে ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতায় তৎকালীন ডেপুটি হাই কমিশনের ৬৫ জন বাংলাদেশি কূটনীতিক ও দূতাবাসকর্মী পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনের কার্যভার গ্রহণ করেন। এ সময় পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম দূতাবাস প্রতিষ্ঠিত হয়। এভাবেই ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের  কূটনৈতিক ফ্রন্টের যাত্রা শুরু হয়।
 
            পরবর্তীতে তদানীন্তন বিভিন্ন পাকিস্তানি দূতাবাসসমূহে কর্মরত বাংলাদেশী কূটনীতিকগণ পাকিস্তান সরকারের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্যপ্রদর্শনপূর্বক মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের  কূটনৈতিক ফ্রন্টকে বেগবান করেন এবং বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পক্ষে প্রচারনা ও জনমত গঠনের কাজ শুরু করেন এবং পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কর্মকান্ড বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ০১ আগস্ট বাংলাদেশের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন স্কয়ারের কনসার্ট এবং যুক্তরাজ্যের  ট্রাফেলগার স্কয়ারে হাজারো মানুষের গণজমায়েতের মত ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহ সংঘটিত হয়। কূটনৈতিক উত্তরণের এ অনন্য ঘটনার স্মরণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ‘ফরেন সার্ভিস ডে’ কে  ‘কূটনৈতিক উত্তরণ দিবস’ হিসেবে আখ্যা দেন।
 
            জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিদেশের মাটিতে অসীম সাহসিকতায় বাংলাদেশী কূটনীতিকগণ দেশকে স্বাধীন করার প্রত্যয়ে যে কূটনৈতিক যুদ্ধ শুরু করেছিলেন তা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশী কূটনীতিকগণের জন্য দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত এবং দেশ সেবার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে যাবে। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অগ্রজ কূটনীতিকগণের শুরু করা “First Line of Defence”  হিসেবে স্বীকৃত এই গৌরবময় কূটনৈতিক যুদ্ধে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসের বর্তমান সদস্যগণ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ যে কোন জরুরি ও দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে সর্বদা অগ্রগামী ভূমিকা পালন অরে আসছে।
 
            এই দিনে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস এসোসিয়েশন সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছে জাতির পিতা এবং অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী ত্যাগী নেতাদের, সকল মুক্তিযোদ্ধাদের এবং সে সব মহান কূটনৈতিক মুক্তিযোদ্ধাদের যারা জীবন, জীবিকা ও পরিবারের কথা চিন্তা না করে দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এবং তাঁদের অনুপ্রেরণায় বিশ্বের নানা প্রান্তে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশীদের সেবায় নিয়োজিত থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।
 
মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অংশিদারিত্ব আরও বৃদ্ধি ও সুসংহত করা । এ দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্হ্যকর্মী, পুলিশ, সামরিক বাহিনী, মাঠ প্রশাসন সহ করোনা প্রতিরোধে যারা সম্মুখে থেকে দেশবাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের প্রতি বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস এসোসিয়েশন গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছে। বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস এসোসিয়েশন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করোনা মোকাবেলায় সরকারের সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।